মুন্সী মেহেদী হাসান, নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় কথিত যুবলীগ নেতার সন্ত্রাসী হামলায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের এ টু আই উদ্যেক্তা সাদ্দাম মোল্লাসহ আহত হয়েছে অন্তত ৪ জন।আহতরা হলেন- রুবেল মোল্লা(২৪), মোঃ মামুন হোসেন(৩০), রুবেল হোসেন(৩২), সাদ্দাম মোল্লা (২৮), এদের মধ্যে সাদ্দাম মোল্লার অবস্থা আশঙ্কাজনক। ইয়ারপুর ইউনিয়নের কথিত যুবলীগ নেতা রাজন ভূইয়ার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানায় আহতরা। স্থানীয়রা জানায়, রবিবার রাত ১১ টার দিকে নরসিংহপুর হামীম গ্রুপের তিন নং গেট সংলগ্ন এলাকায় রাজন ভুইয়া, সাইফুলসহ ৮/১০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডিম ব্যবসায়ী রাসেলের উপর হামলা করে এবং তার কাছে থাকা ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। রাসেলের চিৎকারে তার খালাতো ভাই সাদ্দাম , রুবেল ও মামুন এগিয়ে আসলে, তাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করো এবং তাদের কাছ থেকে মোবাইল সেট নগদ টাকা ও মটরবাইক ছিনিয়ে নেয় রাজন ও তার বাহিনীর সদস্যরা। আহতদের আত্নচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় আহত সাদ্দাম মোল্লা বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যা বর্তমানে তদন্তধীন। স্থানীয়রা আরোও অভিযোগ করেন -রাজন ভূইয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র,মাদক,জবরদখল, ভাংচুরসহ এলাকায় ব্যাপক ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা থাকলেও জামিনে বেরিয়ে এসে আবারও এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এ কারনে এলাকাবাসী রাজনের সন্ত্রাস আতংকে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। কিছু দিন আগে রাজন ও তার বাহিনী ইয়ারপুর ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বর আবু তাহের মৃধার অফিস ভাংচুর ও লুটপাট করে, এ অভিযোগে আশুলিয়া থানায় মামলা হয়। যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে রাজন ভূইয়া। স্থানীয়দের ধারনা বার বার অপরাধ করে পার পাওয়ায় রাজন ভূইয়ার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এমতাবস্থায় সামাজিক ও আইনগত কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এরা আরো ভয়ংকর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ঘটাতে পারে বলেও স্থানীয়দের আশংকা রয়েছে।
আহত সাদ্দাম মোল্লা ও রুবেল মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, দোকানের সামনে ডিমের গাড়ী রাখাকে কেন্দ্র করে দোকনদার ও আমার খালাতো ভাই ডিম ব্যবসায়ী রাসেলের তর্কাতর্কি হয় এমন সময় সন্ত্রাসী সাইফুল ও রাজনের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রসহ হঠাৎ রাসেলকে পেটাতে শুরু করে, এসময় তাকে বাচাঁনোর চেষ্ঠা করতে গেলে তারা আমাদেরকে বেধড়ক পিটিয়ে ফেলে রেখে দেয় এবং যাওয়ার সময় মোবাইল, নগদ টাকা ও দুটি মটরবাইক নিয়ে যায়, পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় মটরবাইক দুটি উদ্ধার করা হয়।
নরসিংহপুর এলাকায় ডিম ব্যবসায়ী রাসেল ও ইউপি উদ্যেক্তা সাদ্দামকে পিটিয়ে আহতের বিষয়টি জানতে রাজন ভূইয়াকে ফোন দিলে তিনি অকপটে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন ভাই যা শুনেছেন সত্য শুনেছেন, পরে কথা বলব বলে ফোন কলটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে ইয়াপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক নুরুল আমিন সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি মারামারি বা হামলার বিষয় কিছুই জানিনা, তবে রাজন ভূইয়া যুবলীগ করে, তার কোনও পদ পদবী নাই, আর কারো অপকর্মের দায় দল বা অন্য ব্যাক্তি বহন করবে না।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ জামিনুর রহমান জানান, সাদ্দাম মোল্লার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মারামারির ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আর রাজন ভূইয়ার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। বাদী পক্ষ মামলা করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।